ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি বিস্তারিত জেনে নিন

বত্তমান প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ থেকে শুরু করে পুরো বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং একটি জনপ্রিয় আয়ের রাস্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে।অনেকেই রয়েছেন যারা ইতিমধ্যে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করে তাদের ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়ে তুলেছেন।আবার আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা নতুন করে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিংয়ের কোন সেক্টরে কাজ করলে ভালো হবে অথবা ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এই বিষয়ে জানতে চান। কিন্তু সঠিক তথ্য কোথাও খুঁজে পান না। তাহলে এই সম্পূর্ণ পোস্টটি শুধুমাত্র আপনার জন্যে।
ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি
এই সম্পূর্ণ পোস্টটিতে আমি ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করব। সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আশা করি আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর কোন সেক্টরে কাজ করলে বেশি উপার্জন করতে পারবেন সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে সমস্ত তথ্য বিস্তারিতভাবে পেয়ে যাবেন।

ভূমিকা

বর্তমান বিশ্বে অত্যন্ত জনপ্রিয় ইনকামের একটি উপায় হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। ফ্রিল্যান্সিং পড়াশোনা অথবা বিভিন্ন কাজের পাশাপাশি অবসর সময়ে সম্পন্ন করা যায় বলে দিনে দিনে ফ্রিল্যান্সিংয়ের বিস্তার বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং মানুষ তাদের অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ের বিভিন্ন সেক্টরের কে বেছে নিয়ে তাদের ফ্রিল্যান্সিং যাত্রা শুরু করছে। আমাদের মধ্যে অনেক মানুষই আছেন যারা নতুন করে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান।

তবে নতুন করে শুরু করার আগে অবশ্যই আপনার জানতে হবে ফ্রিল্যান্সিং এর কোন সেক্টরে কাজ করলে আপনি সহজে ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। তাই আপনার সুবিধার খাতিরে এই সম্পূর্ণ পোস্টটির মধ্যে আমি ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি সেই বিষয়ক সকল তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করব। তাই সঠিক তথ্য জানতে সম্পন্ন পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইলো। চলুন বিস্তারিত তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি

আমি নিচে ফ্রিল্যান্সিং এর কিছু সেক্টরের নাম উল্লেখ করছি। যে সেক্টরগুলোতে আপনি আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন এবং বর্তমান সময়ে সেই সেক্টরগুলোর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। যেমন,
  • ডিজিটাল মার্কেটিং
  • ডাটা এন্ট্রি
  • কন্টেন্ট রাইটিং
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • ভিডিও এডিটিং
  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
  • ওয়েবসাইট ডিজাইন
  • ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট 
  • সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার
  • ট্রান্সক্রিপশন
আমি উপরে কিছু ফ্রিল্যান্সিং এর সেক্টরের নাম উল্লেখ করেছি। যে সেক্টরগুলোতে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে খুব ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। চলুন সেই সেক্টর গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

ডিজিটাল মার্কেটিং

বত্তমানে সব থেকে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর এর মধ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং অন্যতম।ডিজিটাল মার্কেটিং সম্বপর্লকে বলতে গেলে বলা যায় এটি এমন একটি রাস্তা যার মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্যর অথবা সার্ভিস বিক্রির জন্য বিভিন্ন বিজ্ঞানপন ব্যাবহার করাকে বোঝায়।আমরা প্রায় সবাই ফেসবুক ব্যাবহার করে থাকি।

ফেসবুক ব্যাবহারের অনেক সময় আমাদের মাঝে বিভিন্ন প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিস এর বিজ্ঞাপন দেখতে পায়।মুলত এটি ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি অংশ।বত্তমানে সব মানুষ অনলাইন এর অপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে।এখন কোন কিছুর দরকার হলে মানুষ আর মার্কেটে যায় না।বরং অনলাইন খুজা শুরু করে।যার কারনে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলেছে।

মানুষ তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যগুলোকে কেনার জন্য বেছে নিচ্ছে ফেসবুক এবং অনান্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।একজন ডিজিটাল মার্কেটের বত্তমানে প্রায় হাজার হাজার টাকা আয় করছেন ডিজিটাল মার্কেটিং সেবা প্রদান করার মাধ্যমে।একজন ডিজিটাল মার্কেটের যেই কাজগুলা করে থাকে সেগুলা হল,
  • কনটেন্ট মার্কেটিং
  •  ই-মেইল মার্কেটিং
  • এসইও
  •  পে-পার ক্লিক 
  • রেডিও মার্কেটিং
  •  সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং 
  • ইলেকট্রনিক বিলবোর্ড মার্কেটিং
মুলত একজন ডিজিটাল মার্কেটের ওপরের দেখানো কাজ গুলা করে থাকে।তাই আপনি চাইলে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারেন।বত্তমানে এর চাহিদা প্রচুর পরিমানে বেড়ে চলেছে।আর দিন দিন এর চাহিদা বাড়তে থাকবে।যার কারনে ডিজিটাল মার্কেটিংকে আপনার ক্যারিয়ের হিসাবে বেছে নিতে পারেন।

ডাটা এন্ট্রি

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর এর মধ্যে সব থেকে সহজ এবং জনপ্রিয় কাজ হল ডাটা এন্ট্রি।ডাটা এন্ট্রি করতে গেলে তেমন কোন বিষয় সম্পর্কে জানতে হয় না।শুধু কম্পিউটার এর সম্পর্কে কিছু বেসিক ধারনা থাকলেই ডাটা এন্ট্রি এর কাজ খুব সহযে করা যাই।মুলত ডাটা এন্ট্রির কাজ হল বিভিন্ন অডিও,ভিডিও এবং ইমেজ হতে সেগুলাকে টেক্সট এ রূপান্তরিত করার কাজ।আরও সহজ কোথাই বলতে গেলে আপনাকে একটা অডিও ফাইল দিয়ে দিয়া হবে।আপনাকে সেই অডিও শুনে সেগুলা লিখে ফাইল আকারে ক্লায়েন্টকে দিয়ে দিতে হবে।

আবার ধরেন আপনারে একটা ইমেজ দিয়া হবে।সেগুলা লিখে ফাইল আকারে ক্লায়েন্টকে দিয়ে দিতে হবে।বাকি কাজ গুলার থেকে ডাটা এন্ট্রি সহজ বলে মানুষ এটা শুরু করছে।যদি আপনার কম্পিউটার সম্পর্কে ভাল জ্ঞান থেকে থাকে তাহলে আপনি খুব সহজে ডাটা এন্ট্রি শুরু করতে পারেন।আপনি চাইলে খুব সহজে ডাটা এন্ট্রি করে প্রতি মাসে খুব ভাল পরিমাণে আয় করতে পারেন।

কন্টেন্ট রাইটিং

বত্তমানে সব থেকে জনপ্রিয় হোল কনটেন্ট রাইটইং।যদি আপনার লেখালেখি করার খুব সখ থাকে আথবা আপনি লিখতে পারেন তাহলে দেরি না করে আজ থেকে সুরু করে দেন কনটেন্ট রাইটইং।আপনি চাইলে আপনার নিজের ওয়েবসাইট বানিয়ে ওইখানে কনটেন্ট পাবলিশ করে ইনকাম করতে পারে অথবা আপনি চাইলে আপনার লিখা কনটেন্ট বিক্রি করে আয় করতে পারেন।

আপনি চাইলে বাংলা এবং ইংলিশ দুই ভাবে কনটেন্ট লিখতে পারেন।মূলত বাংলা কনটেন্ট এর থেকে ইংলিশ কনটেন্টএর দাম বেশি হয়ে থাকে।তাই আপনি যদি ইংলিশ বিষয়ে ভাল জানেন তাহলে বেশি টাকা আয় করতে পারবেন।তাই দেরি না করে সুরু করে দেন আপনার ফ্রিল্যান্সিং যাত্রা কনটেন্ট রাইটইং।

গ্রাফিক্স ডিজাইন

আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং এর যে কোন সেক্টর বেছে নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান তাহলে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন নিয়ে আপনার ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে গ্রাফিক্স ডিজাইনের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। প্রায় সকল মানুষই তাদের নতুন কোম্পানি শুরু করছে। মূলত একটি কোম্পানি তৈরি করতে গেলে অবশ্যই একটি কোম্পানির ব্র্যান্ডিং লোগো প্রয়োজন।

তাই আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন শুরু করেন তাহলে বিভিন্ন ধরনের লোগো তৈরি করে ভালো পরিমাণে অর্ধে উপার্জন করতে পারেন। গ্রাফিক্স ডিজাইনের বেশ কয়েকটি কাজ রয়েছে। আমি নিচে সেই সেক্টরগুলো উল্লেখ করছি,
  • লোগো ডিজাইন
  • ব্র্যান্ডিং ডিজাইন
  • প্রোডাক্ট ডিজাইন
  • ওয়েব ডিজাইন
  • কার্টুন ডিজাইন
  • মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডিজাইন
  • প্রিন্ট ডিজাইন
  • পাবলিকেশন ডিজাইন
  • UI/UX ডিজাইন
আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখেন তাহলে উপরের উল্লেখ করা কাজগুলো খুব সহজে সম্পন্ন করতে পারবেন। তাই আমি বলব এই যে, তুই যদি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করে আপনার ক্যারিয়ার গড়তে চান তাহলে গ্রাফিক্স ডিজাইন কে আপনার মূল অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। তবে গ্রাফিক্স ডিজাইন করতে গেলে অবশ্যই আপনাকে ডিজাইন সম্পর্কিত খুঁটিনাটি তথ্য সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকতে হবে।

অর্থাৎ, যদি আপনি পরিপূর্ণভাবে ডিজাইন না করতে পারেন। তাহলে আপনার উপার্জন করা সম্ভব নয়। তাই গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ঘাটাঘাটি করে শুরু করে দিন গ্রাফিক্স ডিজাইন।

ভিডিও এডিটিং

ভিডিও সম্পর্কে আমাদের সবারি ধারনা আছে।আমরা ফেসবুক থেকে সুরু করে যেইখানেই যাই না কেন আমাদের মাঝে বিভিন্ন বিনোদন মূলক ভিডিও চলে আসে।মুলত এই ভিডিও গুলো এডিট করা হয় এবং আমাদের মাঝে বিনোদন আকারে উপস্থাপন করা হয়।বত্তমানে একজন ভিডিও এডিটর এর চাহিদা অনেক।তাই আপনি চাইলে ভিডিও এডিটিং সিখে আপনার ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন।একজন ভিডিও এডিটর হতে গেলে আপনাকে খুবি দক্ষ হয়ে হবে।

কারন একজন ভিডিও এডিটর খুব মোটা অংকের টাকা পেয়ে থাকেন ভিডিও এডিট করার মাধধ্যমে।তাই আপনি যদি ভিডিও এডিট এ দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে আজকে থেকে সুরু করে দেন ভিডিও এডিটিং।ভিডিও এডিটিং এ যেসব কাজ করা হয়,
  • ভিডিও টেম্পলেট এডিটিং
  • সাবটাইটেল এন্ড ক্যাপশন
  • লোগো এনিমেশন 
  • ভিডিও এডস্ & কমার্শিয়ালস
  • এনিমেশন ফর কিডস 
  • এনিমেটেড গিফস
  • ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট
  • সোসাল মিডিয়া ভিডিওস
  • ক্যারেক্টর এনিমেশন ইত্যাদি
মূলত আপনি যদি একজন ভিডিও এডিটর হন তাহলে ওপরের কাজগুলা খুব সহজে করতে পারবেন এবং ভাল পরিমানে আয় করতে পারবেন।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন

মূলত একটা পোস্ট কে সার্চ লিস্টে সবার সামনে দেখানোর জন্য যে কাজ করা হয় তাকে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন অথবা SEO বলা হয়ে থাকে।এছাড়াও আপনার ওয়েবসাইট এর ট্রাফিক এবং ভিজিটর বাড়ানোর জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করা হয়।বত্তমানে একজন SEO এক্সপার্ট প্রতি মাসে প্রায় লাখ টাকা আয় করে থাকেন।তাই আপনিও চাইলে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন শিখে আয় করতে পারেন।

যদিও সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন শিখতে হলে আপনাকে ৬মাস থেকে ১ বছর সময়দিতে হবে তাহলে আপনি একজন সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনে দক্ষ হতে পারবেন।সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের কয়েকটি ভাগ রয়েছে যেমন,
  • অফ পেজ SEO
  • অন পেজ SEO
  • টেকনিক্যাল SEO
একজন এসএইও এক্সপার্ট ওপরের কাজগুলো করে থাকে।আপনি যদি আয় করতে চান তাহলে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন শিখে আয় করতে পারেন।

ওয়েবসাইট ডিজাইন

বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ইনকামের মাধ্যমে হচ্ছে ওয়েবসাইট ডিজাইন। অর্থাৎ আপনি চাইলে ওয়েবসাইট ডিজাইন শিখে আপনার ফ্রিল্যান্সিং যাত্রা শুরু করতে পারেন। প্রতিনিয়ত গুগল অন্যান্য জায়গায় হাজার হাজার নতুন ওয়েবসাইট তৈরি হয়ে চলেছে।আর মানুষ চাই তাদের ওয়েবসাইট এ তাদের পছন্দের ডিজাইন থাকুক।মূলত ওয়েবসাইট ক্লায়েন্টের মনের মতো ডিজাইন করাই একজন ওয়েবসাইট ডিজাইনারের কাজ।

ওয়েবসাইট এ কোথাই কি থাকবে কেমন স্টাইল হবে সব ঠিক করাই একজন ওয়েবসাইট ডিজাইনারের কাজ।প্রতিনিয়ত ওয়েবসাইট তৈরি হওয়ার কারনে দিন দিন ওয়েবসাইট ডিজাইনারের চাহিদা বেড়ে চলছে।ঠিক এই সুযোগ টাকে কাজে লাগিয়ে আপনি ওয়েবসাইট ডিজাইন শিখে আপনার আয় সুরু করতে পারেন।ওয়েবসাইট ডিজাইন এর বেস কিছু ভাগ রয়েছে যেমন,
  • ব্লগ ওয়েবসাইট
  • ই-কমার্স ওয়েবসাইট
  • বিজনেস ওয়েবসাইট
  • ইভেন্ট ওয়েবসাইট
  • পার্সোনাল ওয়েবসাইট
  • পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট
  • মেম্বারশীপ ওয়েবসাইট
  • ইনফর্মেশনাল ওয়েবসাইট
  • নন-প্রফিট ওয়েবসাইট ইত্যাদি
একজন ওয়েবসাইট ডিজাইনার মূলত ওপরের দেখানো বিষয় গুলো নিয়ে কাজ করে থাকে।তাহলে আশা করি আপনি বুজতে পেরেছেন।

ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট 

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের জনপ্রিয় কাজের মধ্যে ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্টের কথা বারবারই উঠে আসে। আমাদের মধ্যে অনেকেই ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট এর মাধ্যমে গড়ে তুলেছেন তাদের ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার। মূলত ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটের অথবা অ্যাপ তৈরি করার প্রক্রিয়াকে বোঝায়।

অর্থাৎ, আপনি আপনার স্মার্টফোনে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ্লিকেশন পেয়ে যাবেন মূলত এইগুলো ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট এর একটি অংশ। এছাড়াও ডিজাইন, টেস্টিং এবং কোডিং ও এর মধ্যে রয়েছে। মূলত আপনি যদি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে এইচটিএমএল, সিএসএস এবং জাভাস্ক্রিপ্ট সম্পর্কে জানতে হবে।

কারণ একটি ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট করতে গেলে অবশ্যই কোডিং এর কাজ সম্পর্কে ধারনা থাকতে হয়। মূলত ওয়েব ডেভেলপমেন্টের তিনটি সেক্টর রয়েছে। সেক্টর গুলি আমি নিচে তুলে ধরছি। যেমন,
  • ফ্রন্ট এন্ড অথবা ক্লায়েন্ট এন্ড ডেভেলপমেন্ট
  • ব্যাক এন্ড অথবা সার্ভার এন্ড ডেভেলপমেন্ট
  • ফুল স্ট্যাক ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি
তাই আপনি যদি ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট করে নিজের ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়তে চান তাহলে অবশ্যই শুরু করতে পারেন।

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার

বর্তমানে ফেসবুক অথবা অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের পণ্য ক্রয় বিক্রয় হয়। আর এই পণ্য ক্রয় বিক্রয় একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের গুরুত্ব প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। সহজ ভাষায় বলতে গেলে একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের কাজ হল, প্রতিনিয়ত সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা এবং কাস্টমার এরা মেসেজ করলে সেই মেসেজগুলোর দ্রুত রিপ্লাই করা এবং বিভিন্ন

সার্ভিস ও পেজের কনটেন্ট তৈরি করা থেকে নিয়মিত পোস্ট করা সহবিভিন্ন কাজগুলি একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার সম্পন্ন করে থাকে। তাই আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং এর সহজ সেক্টরে কাজ করতে চান তাহলে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হিসেবে আপনার ফ্রিল্যান্সিং যাত্রা শুরু করতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি সম্পর্কে সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং উত্তর FAQ

প্রশ্নঃএকজন ফ্রিল্যান্সারের কাজ কি?
উত্তরঃ একজন ক্লায়েন্টের নির্দেশনা মোতাবেক কাজ সম্পন্ন করা

প্রশ্নঃবাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সিং কত বছর থেকে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে?
উত্তরঃ মূলত কাজের সূচনা হয়েছিল ১৯৯৮ সাল থেকে। কিন্তু গত ৩-৪ বছর ধরে ফ্রিল্যান্সিংয়ের চাহিদা প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে

প্রশ্নঃকি কি বিষয়ের উপর ফ্রিল্যান্সিং করা যায়?
উত্তরঃ বেশ কয়েকটি বিষয়ের উপর ফ্রিল্যান্সিং করা যায়। যেমন,
  • ডিজিটাল মার্কেটিং
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • ভিডিও এডিটিং
  • কনটেন্ট রাইটিং ইত্যাদি
প্রশ্নঃএকজন ফ্রিল্যান্সার এর মাসিক আয় কত?
উত্তরঃ মাসিক আইনির্ভর করে একজন ফ্রিল্যান্সারের কাজের উপর। তবে একজন ফ্রিল্যান্সার মাসে প্রায় লক্ষাধিক টাকা আয় করে থাকে

প্রশ্নঃবর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর কোনটি?
উত্তরঃ ডিজিটাল মার্কেটিং

প্রশ্নঃমোবাইল দিয়ে কি ফ্রিল্যান্সিং করা যায়?
উত্তরঃ হ্যাঁ অবশ্যই মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনটি অবশ্যই ভালো মানের হতে হবে

প্রশ্নঃবিশ্বে ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা কত?
উত্তরঃ প্রায় ১৫৭ কোটি

প্রশ্নঃফ্রিল্যান্সার হতে কত সময় লাগে?
উত্তরঃ প্রায় ছয় মাস বা তার অধিক সময় লাগে। অর্থাৎ, সময় নির্ভর করে আপনি ঠিক কত দ্রুত শিখতে পারছেন তার ওপর

লেখকের মন্তব্য

এই সম্পূর্ণ পোস্টটি জুড়ে আমি ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি সে বিষয়ে সঠিক তথ্য আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। এই সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার পর আশা করি আপনি আপনার কাঙ্ক্ষী তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে ধারণা পেয়ে গেছেন। ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি সম্পর্কিত পোস্টটি আপনার ভালো লেগে থাকলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং এরকমই নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন তথ্য পেতে ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url