এফিলিয়েট মার্কেটিং কি জেনে নিন
বত্তমান সময়ে এসে আপনারা অনেকেই এফিলিয়েট মার্কেটিং এর নাম শুনে থাকবেন।আপনাদের মাথায় অনেক প্রশ্ন আসে যে, এফিলিয়েট মার্কেটিং কি? এবং কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হয়।তাই আজকের এই সম্পূর্ণ পোস্টের মধ্যে আমি এফিলিয়েট মার্কেটিং কি এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং সংক্রান্ত সকল তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে ধারনা দিয়ার চেষ্টা করব।
তাই আপনি যদি এফিলিয়েট মার্কেটিং সংক্রান্ত সকল তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আমাদের সাথেই থাকুন।
ভুমিকা
এফিলিয়েট মার্কেটিং এমন একটি অনলাইন আয়ের পদ্ধতি।যার মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য অথবা সেবা প্রচার করে একটি নিদিষ্ট পরিমানে কমিশন নিয়ে আয় করতে পারবেন।মুলত এফিলিয়েট মার্কেটিং অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়ে থাকে।আপনারা অনেকেই জানেন না যে, এফিলিয়েট মার্কেটিং আধুনিক ই-কমার্সের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
আপনি যদি আপনার পণ্য বিক্রি করতে চান অথবা ব্যক্তিগত আয় বাড়াতে চান তাহলে আপনার জন্য এফিলিয়েট মার্কেটিং একটি কার্যকর পদ্ধতি হতে পারে।এক্ষেত্রে এফিলিয়েট মার্কেটাররা বিভিন্ন ব্লগ, সোশ্যাল মিডিয়া এবং নিজস্ব ওয়েবসাইট ব্যবহার করে পণ্য অথবা সেবা প্রচার করে থাকেন।আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইট এ বিভিন্ন কোম্পানির পণ্যর এফিলিয়েট লিঙ্ক দিয়ে রাখেন।ওই লিঙ্ক থেকে যদি ক্রেতারা পণ্য ক্রয় করেন তাহলে আপনি কমিশন পেয়ে যাবেন।
মূলত এই পদ্ধতিতে আয় করা খুব সহজ হওয়ার কারনে অনেক মানুষ এটিকে পেশা হিসাবে বেছে নিচ্ছেন।আপনি যদি নতুন উদ্যোক্তা হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য এফিলিয়েট মার্কেটিং খুবি লাভজনক হতে পারে।আশা করছি আপনি কিছু ধারনা পেয়েছেন।এবার চলুন আরও কিছু তথ্য সম্পর্কে জেনে নিয়া যাক।
এফিলিয়েট মার্কেটিং পরিচিতি
এফিলিয়েট মার্কেটিং হল এমন এক ধরনের অনলাইন ব্যবসায়িক সিস্টেম। এখানে আপনাকে অন্যের পণ্য বা সেবা প্রচার করতে হয়। পরবর্তীতে যদি পণ্য বিক্রি হয় তাহলে আপনি নির্দিষ্ট পরিমাণে কমিশন পেয়ে যাবেন। বর্তমানে এটি ইনকামের সবচেয়ে সহজ রাস্তা হতে পারে আপনার জন্য।
মূল ধারণা
এফিলিয়েট মার্কেটিং খুবি সহজ একটি প্রক্রিয়া।এর তিনটি প্রধান সিস্টেম রয়েছে।যেমন,
- বিক্রেতা (Seller)
- এফিলিয়েট (Affiliate)
- গ্রাহক (Customer)
সাধারণত একজন বিক্রেতা নির্দিষ্ট পণ্য তৈরি করেন। এর পরবর্তীতে এফিলিয়েট এর মাধ্যমে পণ্যের প্রচারণা করা হয়। এক্ষেত্রে প্রচারণা দেখে গ্রাহক পণ্য ক্রয় করেন। এতে করে যিনি এফিলিয়েট এর মাধ্যমে পণ্য প্রচার করে থাকেন তিনি নির্দিষ্ট কমিশন পান।
কিভাবে কাজ করে
এফিলিয়েট মার্কেটিং এর কাজের ধাপগুলি অতান্ত সহজ।আমি নিচে ধাপ উল্লেখ করলাম।যেমন,
- প্রথমে আপনাকে এফিলিয়েট একটি প্রোগ্রামে যুক্ত হতে হবে।
- এরপর তারা একটি ইউনিক লিংক পাবেন।
- উক্ত লিংক আপনি বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করতে পারবেন।
- যদি গ্রাহকরা আপনার লিংকে ক্লিক করে পণ্য ক্রয় করে।
- তাহলে আপনি এফিলিয়েট পণ্য বিক্রির উপর নিদিষ্ট কমিশন পেয়ে যাবেন।
সাধারনত এফিলিয়েট লিংক ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে তাদের কাজ সম্পন্ন করে থাকে।যার কারনে যখন গ্রাহক লিংকে ক্লিক করে, তখন বিক্রেতা জানতে পারে কে লিংক শেয়ার করেছে।যদি আপনার লিঙ্ক থেকে কেও পণ্য ক্রয় করে তাহলে আপনি কমিশন পেয়ে যাবেন।তাহলে আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন।
বিক্রেতা পণ্য তৈরি ও বিক্রি
এফিলিয়েট পণ্য প্রচার করা
গ্রাহক পণ্য ক্রয়
এফিলিয়েট মার্কেটিং এর প্রকারভেদ
সিপিএ (cpa)
সিপিএ এর পূর্ণরূপ হলো কস্ট পার অ্যাকশন।এই মডেলে এফিলিয়েটরা প্রতিটি সফল অ্যাকশনের জন্য কমিশন পান। সাধারণত অ্যাকশন বলতে সাইন আপ,ফর্ম পূরণ অথবা নিউজলেটার সাবস্ক্রিপশন।উক্ত সেক্টরের সহজ এবং দ্রুত উপার্জন করা যায়। মূলত এফিলিয়েটদের শেয়ার করা লিঙ্ক থেকে কনভার্সন হলেই নির্দিষ্ট পরিমাণে কমিশন পাওয়া যায়।
সিপিএল (cpl)
সিপিএল এর পূর্ণরূপ হলো কস্ট পার লিড। সাধারনত এই সেক্টরে এফিলিয়েটদের প্রতিটি লিডের জন্য অর্থ প্রদান করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে লিড বলতে একজন সম্ভাব্য গ্রাহক যে তাদের নাম, ইমেইল বা ফোন নম্বর প্রদান করে সেটাকে বলা হয়।সিপিএল মডেলে কোম্পানিগুলো তাদের গ্রাহকদের তথ্য খুবই সহজে সংগ্রহ করতে পারে। যার কারনে এটি কোম্পানির মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সিপিএস (cps)
সিপিএস এর পূর্ণরূপ হলো কস্ট পার সেল। উক্ত সেক্টরে এফিলিয়েটরা প্রতিটি পণ্য বিক্রয়ের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণে কমিশন পেয়ে থাকেন। সেই ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি যদি এফিলিয়েট এর মাধ্যমে কোন পণ্য অথবা সেবা প্রচার করেন। তাহলে কেউ যদি সেই লিংক থেকে পণ্য অথবা সেবা গ্রহণ করে তাহলে তিনি নির্দিষ্ট পরিমাণে কমিশন পেয়ে থাকেন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে সিপিএস সেক্টরটি এফিলিয়েটদের জন্য সবচেয়ে লাভজনক উপায় হতে পারে।
এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার উপায়
ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করা সহজ এবং লাভজনক একটি সেক্টর। যদি আপনি সঠিক পদক্ষেপে গ্রহণ করেন তাহলে খুব তাড়াতাড়ি আপনি সফলতা অর্জন করতে পারবেন। মূলত আপনি কিছু নির্দিষ্ট সরঞ্জাম এবং যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারেন। আমি নিচে এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করলাম। যেমন,
প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম
সাধারণত আপনি যদি এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার কিছু সরঞ্জামের প্রয়োজন হবে। আমি নিচে সেই সরঞ্জাম গুলির নাম উল্লেখ করলাম। যেমন,
সরঞ্জাম ব্যবহার
ওয়েবসাইট কন্টেন্ট প্রকাশ ও প্রমোশনের জন্য
ইমেইল মার্কেটিং টুল গ্রাহকদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগের জন্য
এসইও টুল সার্চ ইঞ্জিনে র্যাংক বাড়াতে
এনালিটিক্স টুল ডেটা বিশ্লেষণ ও ফলাফল পরিমাপের জন্য
যোগাযোগের মাধ্যম
আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে সফলতা অর্জন করতে গেলে অবশ্যই যোগাযোগ মাধ্যম এর দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আপনার যোগাযোগ মাধ্যম সঠিক হলে আপনি খুব তাড়াতাড়ি সফল হতে পারবেন। আমি নিচে যোগাযোগ মাধ্যমগুলি তুলে ধরলাম। যেমন,
- সোশ্যাল মিডিয়াঃ আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং টুইটার ব্যবহার করতে পারেন।
- ইমেইল মার্কেটিংঃ এর পাশাপাশি আপনি ইমেইল মার্কেটিং করতে পারেন আপনার গ্রাহকদের নিয়মিত আপডেট দেওয়ার জন্য।
- ব্লগিংঃ আবার আপনি চাইলে ব্লগিং করে কন্টেন্ট শেয়ার করতে পারেন। এতে করে আপনার ট্রাফিক বৃদ্ধি পাবে।
আপনি যদি সঠিক যোগাযোগের মাধ্যম খুঁজে বের করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করেন তাহলে খুব তাড়াতাড়ি সফলতা অর্জন করবেন। তাই তাড়াতাড়ি সফলতা অর্জন করতে এবং নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলতে সঠিক নিয়ম মেনে চলুন।
প্রধান এফিলিয়েট নেটওয়ার্ক
এফিলিয়েট মার্কেটিং সফলতা অর্জন করতে গেলে সঠিক নেটওয়ার্ক নির্বাচন করা খুবই জরুরি। আমি নিচে কিছু এফিলিয়েট নেটওয়ার্কের নাম উল্লেখ করছি। যেগুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার উপার্জন বৃদ্ধি করতে পারবেন। যেমন,
অ্যামাজন অ্যাসোসিয়েটস
আপনারা হয়তো অনেকেই অ্যামাজনের নাম শুনেছেন। বর্তমানে অ্যামাজন অ্যাসোসিয়েটস অন্যতম জনপ্রিয় এফিলিয়েট প্রোগ্রাম। আপনি খুব সহজে এটি ব্যবহার করতে পারবেন এবং অ্যামাজনের বিশাল পণ্য তালিকা রয়েছে। এক্ষেত্রে আপনি খুবই সহজে বিভিন্ন প্রোডাক্ট এর রিভিউ করে উপার্জন করতে পারবেন। অ্যামাজন থেকে প্রতিদিন প্রায় লাখ লাখ মানুষ পণ্য ক্রয় করে থাকে।যার কারণে আপনি আমাজন ব্যবহার করলে খুব তাড়াতাড়ি আয় করতে পারবেন।
শেয়ারএসেল
মূলত এফিলিয়েট নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর মধ্যে সবচেয়ে পুরাতন এবং বিশ্বস্ত নেটওয়ার্ক হচ্ছে শেয়ারএসেল। আপনি চাইলে এখানে হাজারো মার্চেন্টের সাথে কাজ করে উপার্জন করতে পারবেন। সাধারণত শেয়ারএসেল বিভিন্ন প্রোডাক্ট এবং সার্ভিসের জন্য কমিশন দিয়ে থাকে।
সিজি অ্যাফিলিয়েট
আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না বিখ্যাত অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্ক হচ্ছে সিজি অ্যাফিলিয়েট।পূর্বে কমিশন জংশন নামে এর বেশ পরিচিতি ছিল। মূলত এটি আপনাকে বিভিন্ন ব্র্যান্ড এবং মার্চেন্টের সাথে কাজ করার সুযোগ প্রদান করবে। আপনি সিজি অ্যাফিলিয়েটের মাধ্যমে পণ্য অথবা সেবা প্রচার করে উচ্চ কমিশন পেয়ে যাবেন। তার পাশাপাশি এইখানে আপনি উন্নত ট্র্যাকিং এবং বিশ্লেষণ টুলস পেয়ে যাবেন।
কন্টেন্ট স্ট্র্যাটেজি
এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে আপনি যদি নিজেকে সফল হিসেবে দেখতে চান তাহলে অবশ্যই সঠিক কন্টেন্ট স্ট্র্যাটেজি আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই স্ট্র্যাটেজি আপনার ক্লায়েন্টের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে সাহায্য করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমি নিচে কিছু প্রধান কন্টেন্ট স্ট্র্যাটেজি নিয়ে আলোচনা করলাম। যেমন,
ব্লগিং
মূলত কন্টেন্ট স্ট্র্যাটেজির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে ব্লগিং। ব্লগিং করার জন্য আপনি উচ্চ মানের কন্টেন্ট তৈরি করুন যাতে করে আপনার কনটেন্ট যারা পড়বে তারা সমস্ত সমস্যার সমাধান পায়। আর আপনি নিয়মিত ব্লগ পোস্ট করতে থাকুন। এতে করে ধীরে ধীরে গুগল সার্চ রেজাল্টে আপনার র্যাঙ্ক বৃদ্ধি পেতে থাকবে।
কন্টেন্ট টাইপ উদাহরণ
রিভিউ পোস্ট পণ্য বা সেবার বিস্তারিত রিভিউ তৈরি করা
হাও টু গাইড কিভা বে কোন কাজ করবে তার গাইড প্রদান করা
ইমেইল মার্কেটিং
ইমেইল মার্কেটিং এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের আরেকটি প্রধান অংশ। এটি করতে গেলে আপনাকে অবশ্যই একটি ইমেইল তালিকা তৈরি করতে হবে। এর পরবর্তীতে আপনাকে নিয়মিত ইমেইল নিউজলেটার পাঠাতে হবে। আপনি ইমেইলে নতুন অফার ও বিভিন্ন ব্লগ পোস্টের লিঙ্ক শেয়ার করতে পারেন। আপনি চেষ্টা করবেন সবসময় পার্সোনালাইজড ইমেইল পাঠানোর।এটি আপনার পাঠকদের সাথে আরও ভালো সংযোগ স্থাপন করতে সাহায্য করবে।
সোশ্যাল মিডিয়া
সোশ্যাল মিডিয়া কন্টেন্ট স্ট্র্যাটেজির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মে আপনি পণ্য নিয়ে পোস্ট করুন।অবশ্যই আপনাকে নিয়মিত পোস্ট করতে হবে।এতে করে আপনার ইউজার এনগেজমেন্ট বাড়বে।আপনি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভিডিও, ছবি এবং ইনফোগ্রাফিক শেয়ার করুন।তাহলে আপনার ব্র্যান্ড ভ্যালু বাড়বে।এনগেজমেন্ট বাড়াতে নিচের বিষয় গুলা মেনে চলুন।যেমন,
- ফেসবুক পোস্ট
- ইনস্টাগ্রাম স্টোরি
- টুইটার থ্রেড
ট্রাফিক বাড়ানোর পদ্ধতি
এসইও
এসইও যার অর্থ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন।আপনার ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে সবার উপরে আনতে এসইও করা হয়।এসইও করতে হলে নিচের নিয়ম মেনে চলুন।
- কীওয়ার্ড রিসার্চ করে সঠিক কীওয়ার্ড নির্বাচন করতে হবে।
- ওয়েবসাইটের পেজের টাইটেল এবং মেটা ডিসক্রিপশন অপটিমাইজ করতে হবে।
- এর পর হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিংক তৈরি করতে হবে।
- শেষ ওয়েবসাইটের লোডিং টাইম কম করতে চেষ্টা করুন।
পেইড মার্কেটিং
পেইড মার্কেটিং দ্রুত ট্রাফিক বাড়াতে সাহায্য করে।আমি নিচে কিছু পেইড মার্কেটিং পদ্ধতি উল্লেখ করলাম।যেমন,
- গুগল অ্যাডওয়ার্ডসঃ দ্রুত ট্রাফিক বাড়াতে গুগলে বিজ্ঞাপন ব্যাবহার করতে পারেন।
- ফেসবুক অ্যাডসঃ ফেসবুকে অডিয়েন্সে পেতে বিজ্ঞাপন প্রচার করতে পারেন।
- ইনস্টাগ্রাম অ্যাডসঃ ইনস্টাগ্রামে ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট দিয়ে ট্রাফিক বাড়ানো যেতে পারে।
সফল এফিলিয়েটদের থেকে পরামর্শ
আপনার কাছে এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে সফল হওয়া কঠিন মনে হতে পারে। কিন্তু আপনি যদি সফল এফিলিয়েটদের কাছ থেকে পরামর্শ গ্রহণ করে তাদের নিয়ম অনুযায়ী কাজ শুরু করেন তাহলে খুব তাড়াতাড়ি আপনি উপার্জন করতে পারবেন। আমি নিচে কিছু কার্যকরী পরামর্শ তুলে ধরছি।পরামর্শ গুলো আপনাকে এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে সফল হতে সাহায্য করবে।যেমন,
বেস্ট প্র্যাকটিস
- গভীর গবেষণাঃ অবশ্যই আপনাকে নিশ অথবা প্রোডাক্ট সম্পর্কে ভালোভাবে ধারনা রাখতে হবে।
- মানসম্মত কনটেন্টঃ খেয়াল রাখবেন আপনি যেই কন্টেন্ট পাবলিশ করছেন সেইগুলা যাতে উচ্চ মানের হয়।যাতে করে আপনার কন্টেন্ট পাঠকদের আকর্ষণ করতে পারে।
- বিশ্বাসযোগ্যতাঃ আপনার প্রোডাক্টের সম্পর্কে সৎ এবং সঠিক তথ্য প্রদান করুন।সফল হতে গেলে সৎ পথে থাকা খুব জরুরি।
- SEO অপটিমাইজেশনঃ আপনার কনটেন্টে সঠিক কীওয়ার্ড ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।এটি করলে আপনার সাইট সার্চ ইঞ্জিনে র্যাঙ্ক করবে খুব তাড়াতাড়ি।
- নিয়মিত আপডেটঃ ব্লগ অথবা ওয়েবসাইট এ নিয়মিত পোস্ট পাবলিশ করুন।তাহলে পাঠকরা খুব তাড়াতাড়ি আকৃষ্ট হবে আপনার ব্লগ এর ওপর।
কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা
- নেতিবাচক মন্তব্যঃ নেতিবাচক মন্তব্যকে গঠনমূলকভাবে গ্রহণ করতে শিখুন।সব সময় নিজের উন্নতি করার চেষ্টা করতে থাকুন।
- বিক্রি না হওয়াঃ বিক্রি না হলে কখনোই হতাশ হবেন না। না হয়ে নতুন কৌশল অবলম্বন করুন।
- কঠোর প্রতিযোগিতাঃ প্রতিযোগিতাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করুন। নিজেকে উন্নত করে নতুনভাবে তৈরি করুন।
- আর্থিক সমস্যাঃ যদি আপনার কোন অর্থনৈতিক সমস্যা থাকলে নির্দিষ্ট বাজেট লিস্ট তৈরি করুন। অপ্রয়োজনীয় খরচ করা থেকে বিরত থাকুন।
- মোটিভেশন হারানোঃ কখনো মোটিভেশন হারাবেন না। মোটিভেশন ফিরে পেতে সফল এফিলিয়েটদের গল্প পড়তে পারেন। এটি আপনাকে উজ্জীবিত করবে।
এফিলিয়েট মার্কেটিং কি নিয়ে সচরাচর জিজ্ঞাশা FAQ
প্রশ্নঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং মানে কি?
উত্তরঃ অনলাইন পণ্য বিক্রয়ের মাধ্যম।
প্রশ্নঃ এফিলিয়েট অর্থ কি?
উত্তরঃ অধিভুক্ত হওয়া।
প্রশ্নঃ মার্কেটিং কত প্রকার?
উত্তরঃ ৬ প্রকার।
প্রশ্নঃ এফিলিয়েট মার্কেটিং এ যারা অনলাইনে মার্কেটিং করে তাদের কি বলা হয়?
উত্তরঃ এফিলিয়েট মার্কেটার।
প্রশ্নঃ ড্রপ শিপিং বিজনেস কি হারাম?
উত্তরঃ হারাম না।
প্রশ্নঃ Affiliate এর আইনগত সংজ্ঞা কি?
উত্তরঃ একটি কোম্পানি যা আংশিক ভাবে অন্যের মালিকানাধীন এ থাকে।
প্রশ্নঃ এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে কি নিজের ওয়েবসাইট প্রয়োজন?
উত্তরঃ ওয়েবসাইটের প্রয়োজন নেই।
প্রশ্নঃ মার্কেটিং এর জনক কে?
উত্তরঃ ফিলিপকে।
প্রশ্নঃ 4P এর জনক কে?
উত্তরঃ Professor E. J. McCarthy।
প্রশ্নঃ আমাজন এফিলিয়েট কি হালাল?
উত্তরঃ সম্পূর্ণরূপে হালাল।
লেখকের মন্তব্য
এফিলিয়েট মার্কেটিং সহজ উপায়ে আয় করার একটি কার্যকারী মাধ্যম।আপনি যদি সঠিক পরিকল্পনা এবং প্রচেষ্টা করেন তাহলে আপনি সফল হতে পারবেন।তাই আপনি যদি আয় করতে চান তাহলে সঠিক উপায়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করুন।তার পাশাপাশি সফলতা পাওয়ার জন্য আপনাকে ধৈর্য এবং পরিশ্রম করতে হবে।
এই সম্পূর্ণ পোস্ট এর মধ্যে আমি এফিলিয়েট মার্কেটিং কি এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং সংক্রান্ত সকল তথ্য উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি।সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ার পর আশা করি আপনি আপনার কাংখিত তথ্য পেয়ে গেছেন।পুরা পোস্ট পড়ার পর আপনার যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যয় বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন এবং নিত্য প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য সম্পর্কে ধারনা পেতে ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url