হ্যাকিং থেকে বাঁচার উপায় জেনে নিন

বর্তমান প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে হর হামেশাই আমরা আমাদের কিছু ভুলের জন্য হ্যাকাররা আমাদের সমস্ত তথ্য চুরি করে নেয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনেকেই হ্যাকিং থেকে বাঁচার সঠিক উপায় সম্পর্কে না জানার কারণে বিভিন্ন সমস্যায় ভুগেন। আর ঠিক এই কারণে আজকের এই সম্পন্ন পোস্টের মধ্যে আমি হ্যাকিং থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে সকল তথ্য বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করব।
হ্যাকিং থেকে বাঁচার উপায়
তাই আপনি যদি হ্যাকারদের কাছ থেকে নিজের সমস্ত তথ্য সুরক্ষিত রাখতে চান তাহলে সম্পন্ন পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। সম্পূর্ণ পোস্ট করলে আশা করি আপনি সকল তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেয়ে যাবেন।

ভূমিকা

হ্যাকিং আমাদের মধ্যে খুবি পরিচিত একটা শব্দ।আমাদের মধ্যে অনেকেই হ্যাকিং এর মতো সমস্যায় পড়েছি।মূলত হ্যাকিং বলতে বোঝায়, আমাদের ফোনের বিভিন্ন ডাঁটা চুরি করাকে।আমাদের সবারই হ্যাকিং থেকে বাঁচার উপায় জেনে রাখা উচিত।যাতে করে খুব সহজে আমরা আমাদের ফোন অথবা ল্যাপটপের ডাঁটা সুরক্ষিত রাখতে পারি।

আজকের এই সম্পূর্ণ পোষ্টের মধ্যে আমি আপনাদের মাঝে হ্যাকিং থেকে বাঁচার উপায় এবং হ্যাকিং সম্পর্কিত সকল তথ্য উপস্থাপন করার চেষ্টা করব। তাই সমস্ত তথ্য সম্পর্কে জানতে এবং হ্যাকিং থেকে বাঁচতে চাইলে আমাদের সাথেই থাকুন। চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।

হ্যাকিং থেকে বাঁচার উপায়

হ্যাকিং থেকে বাঁচার বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে।যেমন,
  • পাসওয়ার্ডের সঠিক ব্যবহার
  • ক্র্যাক সফটওয়ার ইউজ করা থেকে বিরত থাকুন
  • সব ধরনের পপ-আপ এডস ইগনোর করুন
  • অপরিচিত কোন লিংকে ক্লিক করবেন না
  • এন্টি-ভাইরাস সফটওয়ার ব্যাবহার করুন
  • শুধু বিশ্বস্ত ওয়েবসাইটে অনলাইন শপিং করুন
  • একাধিক ইমেইল ব্যবহার করুন
  • পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহারে বিরত থাকুন
  • টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন যুক্ত করুন
আমি ওপরে হ্যাকিং থেকে বাঁচার বেশ কয়েকটি কার্যকারী উপায় তুলে ধরেছি।এবার আমি উপায় গুলো সম্পর্কে আপনাদের সংক্ষিপ্ত ধারনা দিব।

পাসওয়ার্ডের সঠিক ব্যবহার

সাধারণত পাসওয়ার্ড হচ্ছে এমন একটি চাবি যার মাধ্যমে অনলাইনের সকল মাধ্যমকে সুরক্ষিত রাখা হয়।আর আপনার সকল ডাঁটাকে সুরক্ষিত রাখতে পাসওয়ার্ডের সঠিক ব্যবহার করা খুবি জরুরী।আপনি যদি সঠিক ভাবে পাসওয়ার্ড ব্যাবহার করেন তাহলে খুব সহজে আপনি হ্যাকিং থেকে বাঁচতে পারবেন।আমরা পাসওয়ার্ড দিতে অনেকেই ভুল করি।আমরা মনে থাকবে এই মনে করে খুবি সহজ পাসওয়ার্ড ব্যাবহার করি যেমন,১১২২৩৩ অথবা ABCD ইত্যাদি।

কিন্তু এটি আমাদের জীবনে করা সব চেয়ে বড় ভুল। ঠিক এই কারনে হ্যাকার খুব সহজে আমাদের তথ্য চুরি করতে পারেন।হ্যাকিং থেকে বাচতে অবশ্যই আপনাকে ৮ থেকে ১২ সংখার পাসওয়ার্ড দিতে হবে এবং তার সাথে সংখা, ওয়ার্ড এবং ১ থেকে ২ টা চিহ্ন ব্যাবহার করতে হবে।যেমন, #ridoy12#@। তাহলে হ্যাকার কোন ভাবে আমাদের তথ্য চুরি করতে পারবে না।

ক্র্যাক সফটওয়ার ইউজ করা থেকে বিরত থাকুন

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা বে-আইনি ভাবে বিভিন্ন প্রিমিয়াম সফটওয়ার না কিনে সেগুলার ক্র্যাক ফাইল ব্যাবহার করেন।কিন্তু আপনারা জানেন না যে, ওসব ক্র্যাক ফাইলের মধ্যে হ্যাকিং স্ক্রিপ্ট বসানো থাকে।আমরা না বুঝে ডাউনলোড করি যার ফলে আমরা হ্যাকিং এর মতো সমস্যায় পড়ি।

অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় হ্যাকার তথ্য চুরি করে সেই তথ্যগুলো ফেরত দিয়ার জন্য ভাল পরিমানে টাকা চেয়ে বসে।তাই হ্যাকিং থেকে বাঁচতে বিভিন্ন ক্র্যাক সফটওয়ার ব্যাবহার করা বন্ধ করে দিন।

সব ধরনের পপ-আপ এডস থেকে দূরে থাকুন

আমরা কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিভিন্ন ওয়েবসাইট খুজতে গিয়ে দেখি আমাদের সামনে হটাত করেই কিছু পপ-আপ উইন্ডো ওপেন হয়ে গিয়েছে।মূলত এগুলায় হচ্ছে পপ-আপ এড। আপনারা হইত লোভে পড়ে পপ-আপ এডে ক্লিক কর।কিন্তু আপনারা জানেন না যে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসব এডস স্পাম অথবা সস্তা বিজ্ঞাপন হয়।

যার ফলে আমাদের তথ্য চুরি হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে।তাই আপনি অবশ্যই এই পপ-আপ এড গুলো থেকে দূরে থাকবেন।

অপরিচিত কোন লিংকে ক্লিক করবেন না

অনেক সময় আমাদের ইমেইল অথবা অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন টাকার প্রলোভন দেখানো ইমেইল অথবা মেসেজ আসে।আমরা সেই মেসেজ গুলকে লোভে পড়ে ওপেন করে বসি।যার কারনে আমাদের যাবতীয় তথ্য হ্যাকারের কাছে চলে যায়।তাই হ্যাকিং থেকে বাঁচতে এবং নিজের তথ্য সুরক্ষিত রাখতে অপরিচিত কোন লিংকে ক্লিক করবেন না।

এন্টি-ভাইরাস সফটওয়ার ব্যাবহার করুন

কম্পিউটারের সকল তথ্যকে সুরক্ষিত রাখার জন্য এন্টি-ভাইরাসের কোন বিকল্প অন্য কিছু নেই। কম্পিউটারের সব ধরনের নিরাপত্তার জন্য আপনাকে অবশ্যই একটি প্রিমিয়াম এন্টি-ভাইরাস সফটওয়ার ব্যবহার করতে হবে।এন্টি-ভাইরাস সফটওয়ার ব্যবহার করার ফলে আমাদের কম্পিউটারে আসা সমস্ত স্পাম প্রোগ্রাম ও ওয়েবসাইটকে নিজে থেকেই ব্লক করে দিবে।

এছাড়াও যদি আপনার কম্পিউটারে কোন প্রকার ভাইরাস থাকে তাহলে আপনি খুব সহজে বের করতে পারবেন এবং ভাইরাসকে মুছে ফেলতে পারবেন।তাই আপনার সকল তথ্যকে সুরক্ষিত রাখতে এন্টি-ভাইরাস সফটওয়ার ব্যাবহার করুন।

শুধু বিশ্বস্ত ওয়েবসাইটে অনলাইন শপিং করুন

যত সময় বেড়ে চলেছে মানুষ ঠিক তত অনলাইন এর উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। এখন আর মানুষ কোন কিছু কেনাকাটা করতে গেলে বিভিন্ন দোকানে যায় না। সর্বপ্রথম অনলাইনের বিভিন্ন প্লাটফর্মে পণ্যগুলো খুঁজে বেড়ায় এবং পছন্দমত পণ্য ক্রয় করে। কিন্তু আপনাদের জেনে রাখা ভালো যে, আমরা যদি অনলাইনে কোন ওয়েবসাইট থেকে আমাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় করি তাহলে আমাদের কার্ড অথবা ব্যাংকের তথ্য প্রদান করতে হয়।

যার ফলে বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট না হলে আমাদের কার্ড অথবা ব্যাংকের যাবতীয় তথ্য চুরি হওয়ার ভয় থাকে। তাই সতর্কতা অবলম্বন করার পাশাপাশি অবশ্যই আপনাকে বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে শপিং করতে হবে।

একাধিক ইমেইল ব্যবহার করুন

অনেক ক্ষেত্রেই আমরা একটি ইমেইল ব্যবহার করি। যার কারণে যদি আমাদের ইমেইল লগ আউট হয়ে যায় অথবা অন্য একটি নতুন ডিভাইজে লগইন করতে যায় সে ক্ষেত্রে আমরা লগইন করতে পারি না। এই কারণেই আমাদের একাধিক ইমেইল ব্যবহার করতে হবে। ধরুন আপনার একটি ওয়েবসাইট রয়েছে এবং যে ইমেইলে ওয়েবসাইট রয়েছে সেই ইমেইলের সমস্যা হয়েছে এক্ষেত্রে আপনি দ্বিতীয় রিকভারি ইমেইল দিয়ে খুব সহজে আপনার ওয়েবসাইটটি রিকভারি করে নিতে পারবেন।

রিকভারি ইমেইল দিয়ে খুব সহজে আপনার পূর্বের ইমেইল ফিরিয়ে আনতে পারবেন। তাই হ্যাকিং অথবা অন্যান্য সমস্যা থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে একাধিক ইমেইল ব্যবহার করুন।

পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহারে বিরত থাকুন

আমরা সচরাচর বিভিন্ন ধরনের পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করি। কিন্তু আমরা জানি না যে, পাবলিক ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক পাবলিক থাকায় যে কেউ নেটওয়ার্ক অ্যাক্সেস করতে পারে। যার কারণে আপনার স্মার্টফোন অথবা ডিভাইস হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু আপনি এমন পরিস্থিতিতে পড়েছেন যে আপনার পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করতেই হবে এক্ষেত্রে আপনি আপনার ফোনের ভিপিএন অন করে ব্যবহার করতে পারেন।

এতে করে কিছুটা হলেও সুরক্ষিত থাকতে পারবেন। তবে আমার মতে পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার না করাই ভালো।

টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন যুক্ত করুন

হ্যাকিং থেকে বাঁচতে সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হচ্ছে টু স্টেপ ভেরিফিকেশন। অর্থাৎ আপনি যদি টু স্টেপ ভেরিফিকেশন অন করে রাখেন তাহলে যদি কেউ আপনার ইমেইল অথবা অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এক্সেস গ্রহণ করতে চাই তাহলে আপনার নাম্বারে অথবা ইমেইলে সতর্কতামূলক কোড চলে আসবে। সেই কোডটি টাইপ করার পরই কেউ আপনার ইমেইলের এক্সেস গ্রহণ করতে পারবে।

আরো সহজ ভাষায় যদি বলি তাহলে, আপনি যদি টু স্টেপ ভেরিফিকেশন ফোন নাম্বার দিয়ে অন করে রাখেন তাহলে অন্য কোন ডিভাইজে লগইন করতে গেলে একটি ভেরিফাই করার জন্য কোড আসবে। সেই কোড দিয়ে ভেরিফাই করার পর আপনি উক্ত ডিভাইসে আপনার ইমেইলের অ্যাক্সেস পাবেন। তাই নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে এবং নিজের সমস্ত তথ্যগুলোকে সুরক্ষিত রাখতে টু স্টেপ ভেরিফিকেশন যুক্ত করুন।

কিছু কথা

উপরে হ্যাকিং থেকে বাঁচার বেশ কয়েকটি উপায় সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত রূপে আপনাদের ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।উপরোক্ত বিষয় গুলো মেনে চলতে পারলে আপনার সকল তথ্য সুরক্ষিত থাকবে এবং আপনি হ্যাকিং থেকে সম্পূর্ণরূপে বাঁচতে পারবেন।তাই হ্যাকিং থেকে বাঁচতে উপরের তুলে ধরা বিষয় গুলো মেনে চলুন।

হ্যাকিং থেকে বাঁচার উপায় নিয়ে সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং উত্তর FAQ

প্রশ্নঃ কম্পিউটার হ্যাকিং প্রতিরোধ করে কোনটি?
উত্তরঃ Firewall।

প্রশ্নঃ হ্যাকিংয়ের জন্য কত বছরের কারাদণ্ডের বিধান করা হয়েছে?
উত্তরঃ সর্বোচ্চ ১৪ বছর।

প্রশ্নঃ সাইবার হুমকি ও এর প্রকারভেদ?
উত্তরঃ যেমন,
  • ম্যালওয়্যার
  • স্প্যাম
  • র‍্যানসমওয়্যার
প্রশ্নঃ সাইবার নিরাপত্তার প্রধান চারটি দুর্বলতা কি কি?
উত্তরঃ যেমন,
  • মানুষের দুর্বলতা
  • নেটওয়ার্ক দুর্বলতা
  • প্রক্রিয়া দুর্বলতা
  • অপারেটিং সিস্টেমের দুর্বলতা
প্রশ্নঃ সাইবার সিকিউরিটির প্রধান তিনটি প্রকার কি কি?
উত্তরঃ যেমন,
  • শারীরিক নিরাপত্তা
  • নেটওয়ার্ক নিরাপত্তা
  • এবং ক্লাউড নিরাপত্তা
প্রশ্নঃ হ্যাকাররা কি চায়?
উত্তরঃ আপনার সকল ডেটা অন্য অপরাধীদের কাছে বিক্রি করে দিতে।

প্রশ্নঃ মানুষের হুমকি সবচেয়ে সাধারণ দুর্বলতা কি?
উত্তরঃ ফিশিং আক্রমণ।

প্রশ্নঃ সাইবার নিরাপত্তার ত্রুটি কি?
উত্তরঃ  অনিচ্ছাকৃত কার্যকারিতা।

প্রশ্নঃ সবচেয়ে ভালো সাইবার সিকিউরিটি কোনটি?
উত্তরঃ  অ্যান্টিভাইরাস।

প্রশ্নঃ সাইবার ক্রাইম কত ধারা?
উত্তরঃ ৫৪ তম ধারা।

প্রশ্নঃ কোনটি সাইবার ক্রাইম নয়?
উত্তরঃ ম্যালওয়্যার।

প্রশ্নঃ সাইবার অপরাধে আমাদের করণীয় কি?
উত্তরঃ হেল্পলাইন নম্বর ১৯৩০ এ কল করা।

প্রশ্নঃ সাইবার ক্রাইম কার্ডের দৈর্ঘ্য কত?
উত্তরঃ ১৬ ডিজিট।

প্রশ্নঃ সাইবার নিরাপত্তায় নতুন কি?
উত্তরঃ এআই ও এমএল ।

লেখক এর মন্তব্য

এই সম্পন্ন পোষ্টের মধ্যে আমি হ্যাকিং থেকে বাঁচার উপায় এবং হ্যাকিং সম্পর্কে সকল তথ্য আপনাদের মাঝে বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। আপনি যদি হ্যাকিং থেকে বাঁচতে চান তাহলে অবশ্যই উপরের তুলে ধরা বিষয়গুলো মেনে চলার চেষ্টা করুন। এই সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার পর আশা করি আপনি হ্যাকিং থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেয়ে গেছেন।

এই সম্পূর্ণ পড়ার পর যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন। যাতে করে আপনার বন্ধুরাও হ্যাকিং এর হাত থেকে নিজেকে সুরক্ষিত করতে পারে। সর্বশেষ এরকম নিত্য প্রয়োজনীয় সকল তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url