কন্টেন্ট রাইটিং শেখার উপায় জেনে নিন
বর্তমান সময়ে এসে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সহজ উপায়ে ইনকাম করার মাধ্যম হলো কনটেন্ট রাইটিং।ঠিক এই কারণেই আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা কন্টেন্ট রাইটিং শেখার উপায় সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য খুঁজে বেড়ান। কিন্তু সঠিক তথ্য না খুঁজে পাওয়ার কারণে কনটেন্ট রাইটিং শিখতে পারেন না। তাহলে এই সম্পূর্ণ পোস্টটি আপনার জন্য। এই সম্পূর্ণ পোস্টের মধ্যে আমি কন্টেন্ট রাইটিং শেখার উপায় এবং কনটেন্ট রাইটিং সংক্রান্ত সকল তথ্য তুলে ধরব।
তাই আপনি যদি কন্টেন্ট রাইটিং সম্পর্কে জেনে সঠিক উপায়ে কন্টেন্ট রাইটিং শিখে অর্থ উপার্জন করার পাশাপাশি নিজেকে সাবলম্বী করে তুলতে চান তাহলে আমাদের সাথেই থাকুন।
ভূমিকা
একটি বিষয়কে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হচ্ছে কনটেন্ট। মূলত একটি বিষয়বস্তুকে সম্পূর্ণরূপে ফুটিয়ে তুলতে কনটেন্ট ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ আপনি যদি কোন নতুন ব্যবসা শুরু করেন সেই ব্যবসা সম্পর্কে লোকজনকে জানানোর সব থেকে সহজ মাধ্যম কনটেন্ট। ঠিক এই কারণে দিনে দিনে কনটেন্ট রাইটিং এর চাহিদা বেড়ে চলেছে।
আর আপনি এই চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে যদি সঠিক উপায়ে কন্টেন্ট রাইটিং শিখতে চান তাহলে আজকের পোস্টটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আজকের এই সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আশা করি আপনি কন্টেন্ট রাইটিং শেখার উপায় এবং কনটেন্ট রাইটিং সংক্রান্ত সকল তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পেরে যাবেন। চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।
কন্টেন্ট রাইটিং কি?
মূলত একটি বিষয়বস্তুকে কনটেন্ট এর মাধ্যমে উপস্থাপন করাকে কনটেন্ট রাইটিং বলে। সহজ ভাষায় বলতে গেলে আপনি কিছু ধরনের টিপস নিয়ে কিছু তথ্য লিখলেন সেটাকে কন্টেন্ট বলা হয়। আমাদের মধ্যে অনেকেরই ভুল ধারণা রয়েছে যে শুধুমাত্র কনটেন্ট রাইটিং ওয়েবসাইটে ব্লগ পোস্ট করার জন্য করা হয়। কিন্তু এটা আমাদের একদমই ভুল ধারণা।
ইউটিউব ভিডিও থেকে শুরু করে এমন কি বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের জন্যেও কনটেন্ট আকারে বিভিন্ন স্ক্রিপ্ট লেখা হয়। মূলত এগুলো কেউ কন্টেন্ট বলা হয়ে থাকে। আরও স্পষ্ট ভাষায় বলতে গেলে যদি আপনি আপনার জ্ঞান, দক্ষতা এবং কৌশল ব্যবহার করে কোন বিষয়ে একটি সুন্দর কনটেন্ট তৈরি করেন তখন আপনাকে কনটেন্ট রাইটার হিসেবে ভূষিত করা হবে।
অর্থাৎ আপনি কোন বিষয়ে চিন্তা করে উক্ত বিষয়ে সুন্দর একটি কনটেন্ট তৈরি করে সেগুলো বিভিন্ন ফরমেটে এডিট করার মাধ্যমে সুন্দরভাবে উপস্থাপন যদি করতে পারেন তাহলে তাকে কন্টেন বলে। এক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি ফরমেট এর কনটেন্ট রয়েছে। যেগুলো একজন কনটেন্ট রাইটার লিখে থাকে। যেমন,
- ব্লগ পোস্ট
- ই-বুক
- সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট তৈরি
- যেকোনো বিষয়ের রিভিউ
- ভিডিও স্ক্রিপ্ট তৈরি
- ওয়েবসাইটের কপি
- ইউটিউবের ভিডিও ডেসক্রিপশন তৈরি
- বিজ্ঞাপনের কপি
- ইমেজ কন্টেন্ট
- ভিডিও কন্টেন্ট
- অডিও কন্টেন্ট ইত্যাদি
কন্টেন্ট রাইটিং কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?
দিনে দিনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। ঠিক এই কারণেই বিভিন্ন কোম্পানি অথবা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বৃদ্ধির জন্য কনটেন্টের চাহিদা বেড়ে চলেছে। অর্থাৎ একটি সুন্দর কনটেন্ট এর মাধ্যমে খুব তাড়াতাড়ি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের আকর্ষণ করা যায়। যদি আপনি সম্পূর্ণরূপে একটি ভালো কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন তাহলে খুব দ্রুত সেগুলো মানুষের কাছে পৌঁছিয়ে যাবে এবং আপনার কোম্পানি অথবা ব্র্যান্ডের বিকাশ ঘটবে। ওয়েব কন্টেন্টের বেশ কয়েকটি উপকারিতা রয়েছে। যেমন,
- আপনি খুব সহজে আপনার বিক্রি বৃদ্ধি করতে পারবেন।
- এর পাশাপাশি সুন্দর কনটেন্ট এর মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের নজর কাড়তে পারবেন।
- যদি ভালো কনটেন্ট হয় তাহলে খুব তাড়াতাড়ি আপনি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মনে আস্থা অর্জন করতে পারবেন।
- পুরাতন কাস্টমারের আস্থা এবং বিশ্বাস ধরে রাখতে সক্ষম হবেন।
- আপনার কোম্পানি অথবা ব্র্যান্ড খুব তাড়াতাড়ি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের কাছে পরিচিত হয়ে উঠবে।
কন্টেন্ট রাইটিং শেখার উপায় - কনটেন্ট রাইটিং এ এক্সপার্ট হওয়ার নিয়ম
কনটেন্ট রাইটিং শিখার বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে। যে উপায় গুলো মেনে চললে আপনি খুব সহজে কনটেন্ট রাইটিং এ এক্সপার্ট হয়ে যেতে পারবেন। সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে আমি নিচে তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করছি। চলুন তথ্যগুলো সম্পর্কে কিছু ধারনা নেওয়া যাক।
কনটেন্টের উদ্দেশ্য ঠিক করা
কোন কিছু কাজের শুরুতেই আপনাকে একটি উদ্দেশ্য ঠিক করা খুবই জরুরী। যদি আপনি উদ্দেশ্য ঠিক না করেন তাহলে কাজে খুব একটা সফলতা অর্জন করা যায় না। আপনি যদি সঠিক উদ্দেশ্য ঠিক করতে না পারেন তাহলে আপনি সামনের দিকে আগাতে পারবেন না। আপনাকে এমন কনটেন্ট লিখতে হবে যেগুলো ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা পছন্দ করে। কনটেন্ট রাইটিং এর ক্ষেত্রে আপনি তিনটি বিষয় মেনে চলতে পারেন। যেমন,
- এমন কনটেন্ট লিখুন যে কনটেন্ট গুলো অডিয়েন্সরা পড়ে অনুপ্রেরণা পায়।
- দ্বিতীয়ত এমন কনটেন্ট তৈরি করুন যেগুলো অর্ডিয়ান্সরা দেখে তাদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবে।
- তৃতীয়ত এবং সর্বশেষ আপনার কনটেন্ট এর মাঝে এমন কিছু তথ্য তুলে ধরুন যার মাধ্যমে আপনার অডিয়েন্সরা নতুন কিছু বিষয় সম্পর্কে জানতে পারে।
এই তিনটি বিষয়ে মাথায় রেখে কাজ করলে আপনি খুব তাড়াতাড়ি সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার পাশাপাশি এবং সফলতা অর্জন করতে পারবেন।
কনটেন্ট এর মূল বিষয় স্থির রাখা
আপনি যে বিষয়ে কনটেন্ট উপস্থাপন করছেন সেই বিষয়ে বাহিরে অনেক সময় আপনার কনটেন্ট এর মধ্যে অন্য কিছু বিষয় চলে আসতে পারে। এক্ষেত্রে আপনি অন্য বিষয়গুলো সম্পর্কে এমন ভাবে আলোচনা করবেন না যাতে করে মূল কনটেন্ট এর বিষয়টি থেকে আপনাকে সরে যেতে হয়। যতদূর সম্ভব মূল কনটেন্ট নিয়ে বেশি আলোচনা করার চেষ্টা করবেন। মূলত আপনি যে বিষয়ে কনটেন্ট লিখতে চাচ্ছেন সেই বিষয়টি সম্পর্কে অডিয়েন্সদের যাতে বুঝতে সুবিধা হয় সেই বিষয়ে আপনাকে মাথায় রাখতে হবে।
আপনি আপনার কনটেন্টে মূল বিষয় এমন ভাবে তুলে ধরবেন যাতে করে যারা কনটেন্ট দেখবেন অথবা পড়বেন তারা যাতে কনটেন্টের মূল বিষয়টা বুঝতে পারে এবং আরো বুঝতে পারে যে আপনি কনটেন্ট ঠিক কোন বিষয়ের উপরে লিখেছেন।
কনটেন্টের এর বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করুন
সহজ ভাষায় বলতে গেলে আপনি যেই বিষয়ের ওপর কনটেন্ট লিখবেন সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে আগে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে নিবেন। অর্থাৎ আপনি সবসময় চেষ্টা করবেন আপনি যেই বিষয়ের ওপর কনটেন্ট লিখবেন সে বিষয়ে যাতে করে ভিজিটররা সঠিক তথ্য পায়। যাতে করে কোন ধরনের ভুলভাল তথ্য না পায়।
এক কথায় আপনি যে বিষয়ে কনটেন্ট লিখতে চাচ্ছেন সেই বিষয়ে আপনার যদি কোন তথ্য জানা না থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে কনটেন্ট লেখা সম্পন্ন করতে হবে। আপনি যদি সঠিক তথ্য দিয়ে সুন্দর মতো একটি কন্টেন্ট তৈরি করতে পারেন তাহলে খুব তাড়াতাড়ি আপনি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারবেন।
তার কারণ বর্তমান সময়ে সব মানুষই আকর্ষণীয় জিনিস পছন্দ করে। তাই আপনি যদি সঠিক তথ্য সংগ্রহ করে এবং সঠিক তথ্য মোতাবেক একটি কন্টেন্ট তৈরি করতে পারেন। তাহলে খুব তাড়াতাড়ি আপনি পরিচিতি লাভ করতে পারবেন।
কাদের জন্য কনটেন্ট লিখছেন মাথায় রাখুন
শুরুতেই বলে রাখা ভালো যে, আপনি ঠিক কোন ধরনের অডিয়েন্সকে টার্গেট করে কনটেন্ট লিখবেন সেই বিষয়গুলি অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। আপনি যাদেরকে টার্গেট করে কনটেন্ট লিখতে চাচ্ছেন তারা কি বিষয়গুলো পছন্দ করে সেগুলো সম্পর্কে আপনাকে আগে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। এরপর পরবর্তীতে তাদের চাহিদা মত কনটেন্ট লিখে আপনি তাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারেন।
মনে করুন আপনি অডিয়েন্সদের টার্গেট করে এমন কনটেন্ট লিখছেন যে কনটেন্ট গুলো তারা পছন্দই করেন। তাহলে আপনি সামনের দিক আগাতে পারবেন না। সামনের দিক আগাতে হলে অবশ্যই যাদের উদ্দেশ্য করে কনটেন্ট লিখবেন তাদের পছন্দ-অপছন্দ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে নিতে হবে। তারপরে আপনি কন্টেন্ট লিখতে পারেন। এক্ষেত্রে কনটেন রাইটিং লিখতে আপনি বেশ কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে পারেন। যেমন,
- প্রথমত আপনি ঠিক কোন বয়সের মানুষের জন্য কনটেন্ট লিখছেন সেই বিষয়টি খেয়াল রাখুন।
- দ্বিতীয়ত আপনার কনটেন্ট গুলো কোন জেন্ডারের জন্য। অর্থাৎ আপনার কন্টেনগুলো ছেলেদের জন্য লেখা না মেয়েদের জন্য লেখা উক্ত বিষয়টি মাথায় রাখুন।
- তৃতীয়ত আপনার কনটেন্টের মাধ্যমে ভিজিটরদের কতটুকু জানার সম্ভাবনা রয়েছে সেই বিষয়ে উল্লেখ করুন।
- আপনার কনটেন্ট সম্পর্কে ভিজিটর কি ধারনা পাবে উল্লেখ করুন।
কন্টেন্ট এর আউট লাইন কি হবে তা আগে থেকে ঠিক করে রাখুন
কন্টেন্ট এর আউট লাইন আগে থেকে ঠিক করে রাখলে কনটেন্ট লিখতে আপনার সুবিধা হবে।তার পাশাপাশি আপনার অনেক সময় বেঁচে যাবে।মূলত আপনার কনটেন্টের গঠন সুন্দর করতে আউট লাইন খুবি জরুরী।আউট লাইন বানানোর জন্য আপনি শুরুতে আপনার কনটেন্টকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করুন।
সব থেকে ভালো হয় যদি আপনি ভাগ গুলোকে পয়েন্ট আকারে লিখতে পারেন।এই কথা গুলো শুনে হয়তো আপনি ভালোভাবে বুঝতে পারছেন না।চলুন আপনাকে ভালো করে বুঝায়।মনে করুন আপনি ক্যান্সার নিয়ে একটি কনটেন্ট লিখতে চাচ্ছেন।এখন আপনাকে পয়েন্ট হিসাবে যা লিখতে হবে,
- ক্যান্সার রোগের লক্ষন
- কেন ক্যান্সার রোগের উৎপত্তি দেখা দেয়
- কোণ খাবার গুলো ক্যান্সার রোগের কারন
- কোণ খাবার গুলো খেলে ক্যান্সার থেকে বাঁচা যায়
- ক্যান্সার রোগ পর্যবেক্ষণ
- ক্যান্সার রোগের চিকিৎসা ইত্যাদি
আমি শুধু আপনাদের বোজানোর জন্য বিষয়টি উল্লেখ করলাম।আশা করি আপনি এখন বিষয়টা সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে বুঝতে পেরেছেন।
পাঠকদের কাজে আশে এমন কনটেন্ট লিখুন
আপনি এমন কনটেন্ট লিখার চেষ্টা করুন যেইগুলো অডিয়েন্স এর কাজে আসবে এবং উপকৃত হবে।আপনি চাইলে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে একটা সুন্দর কনটেন্ট লিখতে পারেন।যাতে করে পাঠকরা আপনার পোস্টের মাধ্যমে তাদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান পেয়ে যায়।আবার আপনি নতুন কোন তথ্য সম্পর্কেও ধারনা দিয়ে কনটেন্ট লিখতে পারেন।মূল কথা আপনি এমন পোস্ট লিখবেন যাতে করে পাঠকরা উপকৃত হয়।
আপনি ৮ থেকে ১০ টি বিষয় নিয়ে এমন ভাবে আলোচনা করুন যাতে করে পাঠকদের বাস্তব জীবনে কাজে লাগে এবং কিছু শিখতে পারে।
নিজস্ব স্টাইল অনুযায়ী কনটেন্ট লিখুন
অন্যের দেখাদেখি কনটেন্ট না লিখে আপনি সব সময় চেষ্টা করবেন আপনার নিজের ভাষায় কনটেন্ট উপস্থাপন করার। কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় অন্যের মতো করে লেখা চেয়ে নিজের কনটেন্ট লিখলে ভালো করে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখা যায়। তাই অবশ্যই চেষ্টা করুন আপনার নিজস্ব স্টাইল অনুযায়ী কনটেন্ট লেখার।
সহজ ভাষায় কনটেন্ট লিখুন
কন্টেন্ট লেখার ক্ষেত্রে ভাষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অর্থাৎ সঠিক ভাষায় কনটেন্ট উপস্থাপন করা খুবই জরুরী। তার কারণ কঠিন ভাষায় কন্টেন্ট উপস্থাপন করতে গেলে পাঠকদের বিষয়গুলো বুঝতে সমস্যা হতে পারে। তাই আপনাকে সবসময় চেষ্টা করতে হবে এমন ভাবে কনটেন্ট লেখার যাতে করে পাঠকরা খুব সহজে বিষয়বস্তু সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারে।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় একটু কঠিন ভাষা হওয়ার জন্য পাঠকরা কনটেন্ট করতে করতে বের হয়ে যায়। তাই অবশ্যই আপনাকে সহজ ভাষায় কনটেন্ট লেখা এবং উপস্থাপন করতে হবে।
নিজের কনটেন্ট বারবার পড়া এবং এডিট করা
আপনি যখন একটি কনটেন্ট সম্পন্নভাবে লিখে ফেলবেন। তখন আপনাকে আপনার কনটেন্টি ভালোভাবে পড়ে নিতে হবে। অর্থাৎ, আপনি যদি আপনার লেখা কন্টেনটি বারবার পড়েন তাহলে খুব সহজে কনটেন্ট এর মধ্যে তৈরি হওয়া ছোট ছোট ভুল ধরা পড়বে। তারপর আপনি সেই ভুলগুলোকে এডিট করার মাধ্যমে সংশোধন করতে পারবেন।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাড়াতাড়ি কন্টেন্ট লেখার জন্য আমাদের কন্টেন্টের মধ্যে অনেক জায়গায় কিছু কিছু তথ্য অপূর্ণ থেকে যায় অথবা তথ্য ভুল হয়ে যায়। আর এই ভুলগুলো সংশোধন করতে গেলে অবশ্যই আপনার কনটেন্টটি বারবার পড়া জরুরি।
গুরুত্বপূর্ণ কথা
আপনারা হয়তো মনে করছেন আপনারা শুরুতেই সফলতা অর্জন করতে পারবেন। তবে আপনাদের বলে রাখি প্রথমে শুরু করা কোন কাজই শতভাগ সম্পূর্ণ অথবা সঠিক হয় না। ধীরে ধীরে আপনি সফলতা অর্জন শুরু করতে থাকবেন। আর সফলতা অর্জন করতে গেলে অবশ্যই আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।
সঠিক পরিশ্রম এবং সঠিক পথ অবলম্বন করলে আপনি খুব সহজে সফলতা অর্জন করতে পারবেন। কন্টেন্ট রাইটিং এ সফলতা অর্জন করার জন্য নতুন নতুন জিনিস গুলো সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে সেইগুলো কন্টেন্ট আকারে পাঠকদের কাছে উপস্থাপন করার চেষ্টা করুন। তার পাশাপাশি ধৈর্য ধরে কনটেন্ট লিখতে থাকুন।
কন্টেন্ট রাইটিং শেখার উপায় সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং উত্তর FAQ
প্রশ্নঃ ফ্রিল্যান্সিং কন্টেন্ট রাইটিং কি?
উত্তরঃ ব্লগপোস্টের জন্য লেখালেখি সম্পন্ন করা।
প্রশ্নঃ কন্টেন্ট রাইটারের কাজ কি?
উত্তরঃ কন্টেন্ট তৈরি।
প্রশ্নঃ মোবাইল দিয়ে কি কনটেন্ট লেখা যায়?
উত্তরঃ হ্যাঁ, অবশ্যই।
প্রশ্নঃ কন্টেন্ট রাইটিং কত প্রকার?
উত্তরঃ ৮ প্রকার।
প্রশ্নঃ কিভাবে অনলাইনে লেখা শুরু করব?
উত্তরঃ ওয়েবসাইট অথবা ব্লগ সেট আপ করে।
প্রশ্নঃ কন্টেন্ট রাইটার হওয়ার যোগ্যতা কি?
উত্তরঃ যোগাযোগ অথবা সাংবাদিকতায় স্নাতক ডিগ্রি।
প্রশ্নঃ কন্টেন্ট রাইটিং কি ভালো ক্যারিয়ার?
উত্তরঃ হ্যাঁ, অবশ্যই।
প্রশ্নঃ কনটেন্ট রাইটার হওয়ার দক্ষতা কিভাবে বাড়ানো যায়?
উত্তরঃ লেখার দক্ষতা বৃদ্ধি করার মাধ্যমে।
প্রশ্নঃ কন্টেন্ট তৈরির মূল উদ্দেশ্য কি?
উত্তরঃ বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে মানুষদের ধারণা দেওয়া।
প্রশ্নঃ অনলাইনে লেখালেখি কোথা থেকে শুরু করব?
উত্তরঃ একটি ব্লগ ওয়েবসাইট সেটআপ করে।
লেখকের মন্তব্য
এই সম্পূর্ণ পোস্টের মধ্যে আমি কন্টেন্ট রাইটিং শেখার উপায় এবং কনটেন্ট রাইটিং সম্পর্কিত সকল তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। এই সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার পর আশা করি আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন এবং কনটেন্ট রাইটিং শেখার সঠিক উপায় গুলো সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়ে গেছে।
এই সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার পর যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন। যাতে করে আপনার বন্ধুরাও তাদের কাঙ্ক্ষিত তথ্য সম্পর্কে জেনে উপকৃত হতে পারে। আর এরকম নিত্য প্রয়োজনীয় সকল তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url