দাঁত ফাঁকা দূর করার ঘরোয়া উপায় | সহজ ও কার্যকর টিপস

প্রিয় পাঠক, আপনি যদি দাঁত ফাঁকা সমস্যায় ভুগেন এবং ঘরোয়া উপায়ে দাঁত ফাঁকা দূর করতে চান তাহলে এই পোস্টটি শুধুমাত্র আপনার জন্য। কারন, আজকের পোস্টের মধ্যে দাঁত ফাঁকা দূর করার ঘরোয়া উপায় তুলে ধরা হবে।
দাঁত ফাঁকা দূর করার ঘরোয়া উপায়
তাই আপনি যদি দাঁত ফাঁকা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে সম্পূর্ণ জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।

ভূমিকা

দাঁত ফাঁকা একটি সাধারণ সমস্যা। এটি হাসি নষ্ট করে দেয়। দাঁত ফাঁকা থাকার কারণে অনেকেই অস্বস্তি বোধ করেন। ডেন্টিস্টের কাছে গিয়ে দাঁত ফাঁকা দূর করা সম্ভব, কিন্তু তা ব্যয়বহুল হতে পারে। ঘরোয়া উপায়ে দাঁত ফাঁকা দূর করা সম্ভব। সহজ কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করলেই ফল পাওয়া যাবে। অনেকেই জানেন না যে ঘরোয়া উপাদান ব্যবহার করে দাঁতের ফাঁকা দূর করা সম্ভব।

এই ব্লগ পোস্টে আমরা দাঁত ফাঁকা দূর করার ঘরোয়া উপায় আলোচনা করব। এসব উপায় প্রাকৃতিক এবং সহজে অনুসরণ করা যায়। কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। উপায়গুলো আপনি নিজেই চেষ্টা করতে পারেন এবং দাঁতের ফাঁকা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

দাঁত ফাঁকা হওয়ার প্রথম লক্ষণ

লক্ষণ চিহ্ন

দাঁত ফাঁকা হওয়ার কিছু সাধারণ লক্ষণ আছে যা আপনারা লক্ষ করতে পারেন। যেমন,
  • দাঁতের মধ্যে ফাঁকা জায়গা: দাঁতের মধ্যে ফাঁকা জায়গা স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান হয়।
  • খাবার জমা: দাঁতের ফাঁকা জায়গায় খাবার জমে যায় যা পরিষ্কার করা কঠিন হয়।
  • মুখের দুর্গন্ধ: দাঁতের ফাঁকা জায়গায় জমে থাকা খাবার থেকে মুখের দুর্গন্ধ হতে পারে।
  • মাড়ির রোগ: মাড়িতে ব্যথা, ফোলা বা রক্তপাত হতে পারে।
এই লক্ষণগুলি প্রাথমিক অবস্থাতেই লক্ষ করলে দাঁতের ফাঁকা সমস্যা দূর করা সহজ হতে পারে।

কারণ

দাঁত ফাঁকা হওয়ার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। কিছু সাধারণ কারণ নিচে উল্লেখ করা হলো,

  • দাঁতের ক্ষয়: দাঁতের ক্ষয় হওয়া একটি প্রধান কারণ। দাঁতের এনামেল ক্ষয় হওয়ার ফলে ফাঁকা জায়গা সৃষ্টি হয়।
  • মাড়ির রোগ: মাড়ির রোগের কারণে দাঁতের ফাঁকা জায়গা সৃষ্টি হতে পারে।
  • দাঁতের নাড়া: দাঁতের নাড়া বা দাঁত সরানোও একটি কারণ। দাঁত সরে গেলে ফাঁকা জায়গা তৈরি হয়।
  • জন্মগত কারণ: কিছু ক্ষেত্রে জন্মগত কারণেও দাঁতের ফাঁকা সমস্যা হতে পারে।
এছাড়াও, দাঁতের ঠিকমতো যত্ন না নিলে এবং নিয়মিত ডেন্টিস্টের কাছে না গেলে দাঁতের ফাঁকা হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

দাঁত ফাঁকা দূর করার ঘরোয়া উপায় - দাঁত ফাঁকা দূর করার প্রাকৃতিক উপায়

লবণ-পানি

লবণ-পানি দাঁতের জন্য খুবই উপকারী। এটি প্রাকৃতিক জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করে। প্রতিদিন সকালে ও রাতে লবণ-পানি দিয়ে কুলকুচি করা উচিত। এটি দাঁতের ফাঁকা দূর করতে সাহায্য করে।


লবণ-পানি ব্যবহারের উপকারিতা নিচে উল্লেখ করা হলো,
  • লবণ-পানি দাঁতের জীবাণু দূর করে।
  • মুখের দুর্গন্ধ কমায়।
  • দাঁতের ফাঁকা কমাতে সাহায্য করে।

লবণ-পানি তৈরি পদ্ধতি নিচে উল্লেখ করা হলো,

উপাদান - পরিমাণ
লবণ - ১ চা চামচ
পানি - ১ গ্লাস (গরম)

প্রথমে পানিতে লবণ মেশান। তারপর সেই মিশ্রণ দিয়ে কুলকুচি করুন। প্রতিদিন দুইবার কুলকুচি করলে ফলাফল পাবেন।

হলুদ

হলুদ দাঁতের জন্য অনেক উপকারী। এতে আছে প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপ্টিক উপাদান। হলুদ দাঁতের ফাঁকা দূর করতে সাহায্য করে। এটি দাঁতের মাড়ির সমস্যা দূর করে।


হলুদের উপকারিতা নিচে উল্লেখ করা হলো,
  • হলুদ দাঁতের ব্যথা কমায়।
  • মাড়ির সমস্যা দূর করে।
  • দাঁতের ফাঁকা কমাতে সাহায্য করে।
হলুদ ব্যবহার পদ্ধতি নিচে উল্লেখ করা হলো,

উপাদান - পরিমাণ
হলুদ গুঁড়া - ১ চা চামচ
পানি - পরিমাণমতো

প্রথমে হলুদ গুঁড়া ও পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। তারপর সেই পেস্ট দাঁতে লাগান। ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন একবার ব্যবহার করলে দাঁতের ফাঁকা কমে যাবে।

দাঁত ফাঁকা দূর করার ভেষজ পদ্ধতি

তুলসী পাতা

তুলসী পাতা দাঁতের জন্য খুবই উপকারী। এগুলোতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণাবলী রয়েছে যা দাঁতের ফাঁকা বন্ধ করতে সাহায্য করে। তুলসী পাতা ব্যবহার করে দাঁতের যত্ন নেয়া সহজ।


তুলসী পাতা ব্যবহারের কিছু সহজ উপায় নিচে দেওয়া হলো,
  • তুলসী পাতা চিবানো: প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ২-৩ টি তুলসী পাতা চিবানো যেতে পারে। এটি মুখের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে এবং দাঁতের ফাঁকা বন্ধ করতে সাহায্য করে।
  • তুলসী পাতা পেস্ট: তুলসী পাতা পিষে পেস্ট তৈরি করে দাঁতে লাগানো যেতে পারে। এটি দাঁতের ফাঁকা জায়গাগুলোতে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন।
  • তুলসী পাতা চা: তুলসী পাতা দিয়ে চা তৈরি করে পান করা যেতে পারে। এটি শরীরের জন্যও উপকারী।

ধনিয়া

ধনিয়া দাঁতের ফাঁকা দূর করার জন্য একটি প্রাচীন ভেষজ উপাদান। ধনিয়া পাতা এবং বীজ উভয়ই দাঁতের সমস্যার জন্য উপকারী। ধনিয়া ব্যবহারের ফলে মুখের ব্যাকটেরিয়া কমে যায় এবং দাঁতের ফাঁকা জায়গাগুলো বন্ধ হতে সাহায্য করে।

ধনিয়া ব্যবহারের কিছু সহজ পদ্ধতি নিচে দেওয়া হলো,
  • ধনিয়া পাতা চিবানো: প্রতিদিন ধনিয়া পাতা চিবানো যেতে পারে। এটি মুখের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে এবং দাঁতের ফাঁকা বন্ধ করতে সাহায্য করে।
  • ধনিয়া বীজ পেস্ট: ধনিয়া বীজ পিষে পেস্ট তৈরি করে দাঁতে লাগানো যেতে পারে। এটি দাঁতের ফাঁকা জায়গাগুলোতে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন।
  • ধনিয়া চা: ধনিয়া বীজ বা পাতা দিয়ে চা তৈরি করে পান করা যেতে পারে। এটি দাঁতের জন্য এবং শরীরের জন্যও উপকারী।

রোগ প্রতিরোধ

মৌসুমি ফল

মৌসুমি ফল দাঁতের জন্য খুবই উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ থাকে। মৌসুমি ফল নিয়মিত খেলে দাঁত মজবুত হয় এবং ফাঁকা জায়গা কমে আসে। কিছু মৌসুমি ফলের তালিকা নিচে দেওয়া হলো,
  • আম
  • কাঠাল
  • লিচু
  • জাম
  • পেয়ারা
এই ফলগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। যা দাঁতের মজবুতির জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। পেয়ারা খেলে দাঁতের ব্যাকটেরিয়া দূর হয় এবং আম খেলে দাঁতের ফাঁকা জায়গা কমে আসে।

শাকসবজি

শাকসবজি দাঁতের জন্য খুবই উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন থাকে। নিচে কিছু শাকসবজির তালিকা দেওয়া হলো,
  • পালং শাক
  • লাল শাক
  • ঢেঁড়স
  • করলা
  • পটল
এই শাকসবজিগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। যা দাঁত মজবুত করতে সাহায্য করে। পালং শাক খেলে দাঁতের ফাঁকা জায়গা কমে আসে এবং করলা খেলে দাঁতের মাংস মজবুত হয়।

দাঁত মাজার পদ্ধতি

সঠিক ব্রাশিং

দাঁত মাজার সঠিক পদ্ধতি জানা জরুরি। সঠিক ব্রাশিং দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। প্রথমেই ভালো মানের ব্রাশ নির্বাচন করা উচিত। নরম ব্রাশ ব্যবহার করা ভালো।

ব্রাশের সঠিক কৌশল মেনে চলা প্রয়োজন। নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন। যেমন,
  • প্রতিদিন দুইবার ব্রাশ করুন।
  • প্রতি ব্রাশের সময় ২-৩ মিনিট ব্যয় করুন।
  • গোলাকার গতিতে ব্রাশ চালান।
  • দাঁতের সব দিক ব্রাশ করুন।
  • জিভও ব্রাশ করুন।
ব্রাশ করার সময় দাঁতের মাড়ির দিকে বেশি মনোযোগ দিন। মাড়ির স্বাস্থ্য ভালো থাকলে দাঁতের ফাঁকা সমস্যা কমে। দাঁত মাজার সময় মিষ্টি খাবার এড়িয়ে চলুন। মিষ্টি দাঁতের ফাঁকা হওয়ার কারণ হতে পারে।

ব্রাশ করার সময় খুব বেশি চাপ প্রয়োগ করবেন না। এতে দাঁতের এনামেল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। নিয়মিত ব্রাশ পরিবর্তন করুন। প্রতি ৩ মাস পর ব্রাশ পরিবর্তন করা উচিত।

ফ্লস ব্যবহারের গুরুত্ব

দাঁতের ফাঁকা দূর করতে ফ্লস ব্যবহার করা জরুরি। ফ্লস দাঁতের মধ্যে জমে থাকা খাদ্যকণা দূর করে। এতে দাঁতের ফাঁকা হওয়ার সম্ভাবনা কমে। প্রতিদিন একবার ফ্লস ব্যবহার করা ভালো।

ফ্লস ব্যবহারের সঠিক কৌশল নিচে উল্লেখ করা হলো,
  • ২০-৩০ সেন্টিমিটার ফ্লস নিন।
  • দুই আঙ্গুলের মধ্যে ফ্লস ধরুন।
  • দাঁতের ফাঁকে ফ্লস প্রবেশ করান।
  • উপর থেকে নিচে আলতো করে ফ্লস চালান।
  • প্রতিটি দাঁতের ফাঁকে ফ্লস ব্যবহার করুন।
ফ্লস ব্যবহারের সময় মাড়ির দিকে আলতো করে ফ্লস চালান। এতে মাড়ির স্বাস্থ্য ভালো থাকে। মাড়িতে রক্তক্ষরণ হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

ফ্লস ব্যবহারের পাশাপাশি মুখ ধোয়া জরুরি। ফ্লস ব্যবহার শেষে মুখ ভালো করে ধুয়ে নিন। এতে দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

পানি ও হাইড্রেশন

পানির গুরুত্ব

পানি শুধু আমাদের তৃষ্ণা মেটায় না, এটি দাঁতের জন্যও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। পানি দাঁতের ফাঁকা দূর করতে সাহায্য করে। কারণ এটি মুখের মধ্যে ব্যাকটেরিয়া কমায়। পরিষ্কার পানি দাঁতের ক্ষয় রোধ করে।

পানির গুরুত্বের কিছু প্রধান কারণ নিচে উল্লেখ করা হলো,
  • ব্যাকটেরিয়া কমায়: পানি মুখে থাকা ব্যাকটেরিয়া ধুয়ে ফেলে।
  • জীবাণু দূর করে: এটি মুখের জীবাণু দূর করতে সাহায্য করে।
  • মুখের আর্দ্রতা বজায় রাখে: পানি মুখের আর্দ্রতা বজায় রাখে, যা দাঁতের জন্য ভালো।
পানি মুখের লালা উৎপাদনে সহায়ক। লালা দাঁতের ফাঁকা পূরণে সাহায্য করে। এটি দাঁতের ভেতরে খাবারের কণা জমতে দেয় না। তাই দাঁতের ফাঁকা দূর করতে পানি অপরিহার্য।

হাইড্রেটেড থাকা

সঠিকভাবে হাইড্রেটেড থাকা দাঁতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি দাঁতের ফাঁকা দূর করতে সাহায্য করে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে মুখের লালা উৎপাদন বাড়ে।
  • মুখের লালা বৃদ্ধি: পর্যাপ্ত পানি পান করলে মুখে লালা বৃদ্ধি পায়।
  • দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষা: হাইড্রেটেড থাকলে দাঁতের ফাঁকা কম হয়।
  • মুখের ভিতর পরিষ্কার থাকে: পানি মুখের ভিতর পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
প্রতিদিন অন্তত ৮ গ্লাস পানি পান করা উচিত। এটি দাঁতের ফাঁকা দূর করতে সাহায্য করবে। পানি মুখের ভিতর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। দাঁতের সমস্যা কমে যায়। তাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করা খুব জরুরি।

মৌখিক স্বাস্থ্য

মৌখিক পরিচ্ছন্নতা

মৌখিক পরিচ্ছন্নতা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটি দাঁত ফাঁকা সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। কিছু মৌলিক পদক্ষেপ নিচে দেওয়া হলো,
  • নিয়মিত ব্রাশ করুন: দিনে অন্তত দুবার দাঁত ব্রাশ করা উচিত।
  • ফ্লসিং: দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাবার সরাতে ফ্লস ব্যবহার করুন।
  • মাউথওয়াশ: জীবাণু দূর করতে মাউথওয়াশ ব্যবহার করুন।
এছাড়াও, দাঁতের পরিচ্ছন্নতার জন্য কিছু সাধারণ নিয়ম মেনে চলা দরকার। যেমন,

প্রতিদিন - সাপ্তাহিক
দাঁত ব্রাশ - ফ্লসিং
মাউথওয়াশ - জিভ পরিষ্কার

রোজকার যত্ন

দাঁত ফাঁকা সমস্যা কমাতে রোজকার যত্ন খুব জরুরি। নিচে কিছু সহজ উপায় দেওয়া হল:
  • সঠিক খাদ্যাভ্যাস: শর্করা ও চিনি কম খান। এগুলি দাঁতে ব্যাকটেরিয়া বাড়ায়।
  • পর্যাপ্ত পানি পান: পানি দাঁতের ময়লা দূর করে। প্রতিদিন প্রচুর পানি পান করুন।
নিয়মিত দাঁতের ডাক্তার দেখানোও জরুরি। তারা পেশাদার পরামর্শ দেন। দাঁতের যে কোনো সমস্যা দ্রুত ধরা পড়ে।

ঘরে বসে কিছু প্রাকৃতিক উপায়ও ব্যবহার করতে পারেন। যেমন,
  • লবঙ্গ তেল: এটি ব্যাকটেরিয়া কমাতে সাহায্য করে।
  • নারিকেল তেল: তেল টানার পদ্ধতি দিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।

ডেন্টিস্টের পরামর্শ

নিয়মিত পরীক্ষা

ডেন্টিস্টের নিয়মিত পরীক্ষা খুব জরুরি। এটি দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। বিভিন্ন পরীক্ষা ও পরামর্শ দেবে, যা দাঁতের ফাঁকা দূর করবে।

নিয়মিত পরীক্ষা করলে,
  • দাঁতের সমস্যা আগে থেকেই ধরা পড়বে।
  • ডেন্টিস্ট পরামর্শ অনুযায়ী দাঁতের যত্ন নেওয়া যাবে।
  • পরীক্ষার মাধ্যমে দাঁত পরিষ্কার রাখা সহজ হবে।

নিয়মিত পরীক্ষা করার সুবিধা নিচে উল্লেখ করা হলো,

ফলাফল - বর্ণনা
  • দাঁতের সমস্যা ধরা পড়া - প্রাথমিক অবস্থাতেই সমস্যা চিহ্নিত করা যায়।
  • পরিষ্কার দাঁত - দাঁত ময়লা ও জীবাণুমুক্ত রাখা যায়।
  • ফাঁকা দূর হওয়া - ডেন্টিস্টের পরামর্শ অনুযায়ী যত্ন নিলে ফাঁকা কমে যায়।

পেশাদারী পরিচর্যা

পেশাদারী পরিচর্যার মাধ্যমে দাঁত ফাঁকা দূর করা সম্ভব। ডেন্টিস্টের কাছে গিয়ে পেশাদারী পরিচর্যা নিলে দাঁতের ফাঁকা দ্রুত কমে যায়।

পেশাদারী পরিচর্যার সুবিধা নিচে উল্লেখ করা হলো,
  • দাঁত মজবুত হয়।
  • দাঁতের সমস্যা দ্রুত সমাধান হয়।
  • দাঁত পরিষ্কার ও চকচকে থাকে।
ডেন্টিস্টের পেশাদারী পরিচর্যায় যা অন্তর্ভুক্ত থাকে তা নিচে উল্লেখ করা হলো,

পরিচর্যার ধরণ - বর্ণনা
  • স্কেলিং - দাঁতের জমে থাকা ময়লা ও প্লাক দূর করা হয়।
  • পলিশিং - দাঁতের উপরিভাগ চকচকে করা হয়।
  • ফিলিং - ফাঁকা অংশ পূরণ করা হয়।

সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং উত্তর (FAQ)

প্রশ্নঃ প্রাকৃতিক উপায়ে দাঁতের ফাঁক পূরণ?
উত্তরঃ প্রাকৃতিক উপায়ে দাঁতের ফাঁক পূরণ করতে জিহ্বার ব্যায়াম করা জেতে পারে।

প্রশ্নঃ ফাঁকা দাঁত ঠিক করতে কত টাকা লাগে?
উত্তরঃ ৩,৫০০ থেকে শুরু করে ৭,০০০ টাকা লাগতে পারে।

প্রশ্নঃ কোন রোগের কারণে দাঁত ক্ষয় হয়?
উত্তরঃ পেরিয়াপিকাল পিরিয়ডোন্টাইটিস, অর্থোডন্টিক নড়াচড়া, আঘাত এবং ভিতরের ব্লিচিং রোগের কারণে দাঁত ক্ষয় হয়।

প্রশ্নঃ কোন রোগের কারণে দাঁত ক্ষয় হয়?
উত্তরঃ ডায়াবেটিস।

প্রশ্নঃ দাঁত নিজে খেয়ে ফেললে তাকে কি বলে?
উত্তরঃ রিসোর্পশন।

প্রশ্নঃ দাঁতের ফিলিং এর খরচ কত?
উত্তরঃ দুই থেকে তিন হাজার টাকা।

প্রশ্নঃ দাঁত সোজা করতে ব্রেস কত সময় লাগে?
উত্তরঃ প্রায় ২ বছর।

প্রশ্নঃ দাঁত ক্ষয় হওয়ার এক নম্বর কারণ কি?
উত্তরঃ ভালোভাবে দাঁত পরিষ্কার না করা।

প্রশ্নঃ দাঁত ভিতর থেকে ক্ষয়ের কারণ?
উত্তরঃ ব্যাকটেরিয়া, অ্যাসিড এবং প্লেক।

প্রশ্নঃ দাঁতের ফিলিং করার কত বছর স্থায়ী?
উত্তরঃ প্রায় ১০ থেকে ২০ বছর।

লেখকের মন্তব্য

আজকের এই সম্পূর্ণ পোস্টের মধ্যে আমি আপনাদের মাঝে দাঁত ফাঁকা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে সকল তথ্য বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। এই সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে আশা করি আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন। দাঁত ফাঁকা দূর করার ঘরোয়া উপায় সংক্রান্ত পোস্ট পড়ার পর যদি আপনার ভালো লেগে থাকে এবং আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই বন্ধদের মাঝে শেয়ার করুন।

যাতে করে আপনার মতো আপনাদের বন্ধুরাও উক্ত পোস্ট পড়ে উপকৃত হতে পারে। আর সর্বশেষ নিত্য প্রয়োজনীয় সকল তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url